আলী হোসেন আশিক : বাংলা সাহিত্যের জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক প্রয়াত হুমায়ূন আহমেদের প্রথম স্ত্রী গুলতেকিন খান নিজের জীবনের কিছু ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। গুলতেকিন খান তার সাম্প্রতিক স্ট্যাটাসে সরাসরি হুমায়ূন আহমেদের নাম উল্লেখ করে তাদের দাম্পত্য জীবনের টানাপোড়েনের কথা তুলে ধরেন। যা ঘিরে চলছে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা।
এবার হুমায়ুন আহমেদকে নিয়ে পোস্ট দিলেন তার আরেক স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন। প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের আত্মজীবনীমূলক বই ‘নিউইয়র্কের নীলাকাশে ঝকঝকে রোদ’-এর একটি মর্মস্পর্শী অংশ নিজের ফেসবুকে প্রকাশ করেছেন শাওন। নিউইয়র্কে থাকা অবস্থায় ক্যানসারের চিকিৎসার যন্ত্রণা ভোলার জন্য এই বইটা লেখেন।
যেখানে উঠে এসেছে মানসিক অসুস্থতা ও বিকৃত মানসিকতার মানুষের নির্মমতার দিক।
রোববার (৫ অক্টোবর) নিজের ফেসবুকে শাওন তুলে ধরেছেন কীভাবে স্বামীর (হুমায়ূন আহমেদ) অসুস্থতার সময় ফেসবুকে বিদ্রুপ মন্তব্য করেছিল। শাওনের পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো:
“একদিন লক্ষ করলাম, সে (শাওন) ঝিম ধরে কম্পিউটারের ফেসবুকের পাতার দিকে তাকিয়ে আছে। তার চোখের পাতায় অশ্রুবিন্দু।
আমি বললাম, সমস্যা কী? কেয়ারগিভার বলল, কোনো সমস্যা না। সামান্য মন খারাপ। কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছি। আমি বললাম, আমাকে বলো, দেখি, মন খারাপ কাটানোর চেষ্টা করতে পারি কি না। তোমাকে বলব না।
তোমার মন খারাপ হবে। আমি বললাম, ‘সহজে মন খারাপ হবে, এমন মানুষ আমি না’। বুঝতে পারছি, ফেসবুকে পাঠানো কারও কমেন্ট পড়ে তুমি হতাশ হয়েছ। কী লিখেছে? শাওন পড়ে শোনাল। কেউ একজন লিখেছে, তোমার উচিত শিক্ষা হয়েছে। আমি খুশি যে তোমার স্বামীকে ক্যানসার দিয়ে আল্লাহ তোমাকে শিক্ষা দিলেন। এই শিক্ষা তোমার আরও আগেই হওয়া উচিত ছিল। শাওনের মেয়ে লীলাবতী যখন মারা গেল, তখনও সে এ ধরনের চিঠিপত্র পেত। লেখা থাকত, ‘তোমার কঠিন শাস্তি হওয়ায় আমরা খুশি। আরও শাস্তি হবে’। এই ধরনের কথা।
Add Comment