শাওন আশরাফ: এক দশকেরও বেশি সময় ধরে অভিনয় করছেন শারমিন আঁখি। ‘অরিন্দম নাট্য সম্প্রদায়’র মধ্যদিয়ে মঞ্চে যাত্রা শুরু তার। তখন এই দলের নিয়মিত প্রযোজনা ‘কবি’ নাটকের মূল চরিত্র ‘বসন’ করেই আলোচনায় আসেন। পরবর্তীতে টিভি নাটকে যাত্রা শুরু তার। ক্যারিয়ারে যখন সুসময় বিরাজ করছিল, ঠিক তখন একটি নাটকের শুটিং চলাকালীন বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট বিস্ফোরণে তার শরীর ৩৫ শতাংশ পুড়ে যায়। সেসব এখন অতীত। সবকিছু অতিক্রম করে নিজেকে আবার নতুন করে গড়েছেন আঁখি। এবার বাংলাভিশনের জনপ্রিয় তুর্কি সিরিজ ‘সুলতান আব্দুল হামিদ’-এ ‘হাতিজে’ চরিত্রে কণ্ঠ দিয়েছেন। অভিনয় এবং কণ্ঠভিনয়ের মধ্যে কোনটা বেশি উপভোগ করেন? উত্তরে আঁখি মানবজমিনকে বলেন, দুটোই তো অভিনয়। আর যেকোনো অভিনয় করতেই আমি উপভোগ করি। অভিনয় আঙ্গিক হোক কিংবা বাহ্যিক- দুটো মিলিয়েই কিন্তু অভিনয়। ভয়েস দেয়ার সময় যখন নিজের মধ্যে ওই চরিত্রটিকে ধারণ করি, তখন কাজগুলো এমনিতে সহজ হয়ে যায়। এটা অভিনয়ের আঙ্গিক এবং বাহ্যিক- দুটো মাধ্যমের ক্ষেত্রেই হয়। নিয়মিত অভিনয় অনুশীলন, কণ্ঠশীলনটা জরুরি। ‘সুলতান আব্দুল হামিদ’ সিরিজের কোন চরিত্রের জন্য কণ্ঠ দিয়েছেন? এ অভিনেত্রী বলেন, এখানে আমি ‘হাতিজে’ চরিত্রে কণ্ঠ দিয়েছি। এমন ঐতিহাসিক চরিত্রে কাজ করতে পারাটাও দুর্দান্ত ব্যাপার। এই সিরিজে কণ্ঠ দেয়ার প্রস্তাব কীভাবে আসে? আঁখি বলেন, আমার দুর্ঘটনার পর যখন ভাবছিলাম নতুন করে কীভাবে সবকিছু শুরু করা যায়। তখনই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এসআরকে থেকে প্রস্তাব আসে। প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার শিপুল আর খান সাহস দেন আমাকে। সুযোগটা করে দেন। অনেকটা জোর করেই বলেন, আপনি শারীরিকভাবে অভিনয়ে ফিরতে যে সময় লাগবে, ওই সময়টা বসে থাকবেন কেন? কণ্ঠটাকে কাজে লাগান। মূলত উনার সাহস আর উৎসাহেই কণ্ঠভিনয় শুরু করেছি। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত আমি ‘হারকিউলিস’, ‘ম্যাকগাইভার’, দিরিলিস আরতুগ্রুল’, ‘কুরুলুস ওসমান’, ‘বড় ভাই’ এবং সর্বশেষ ‘আব্দুল হামিদ’ সিরিজে কণ্ঠ দিলাম। সুস্থ হওয়ার পরেও অভিনয়ের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত ছিলাম না। অনেক সময় লেগেছে। এই সিরিজগুলোতে কণ্ঠভিনয়ের কাজ আমাকে অনেক আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে। একটা দীর্ঘ বিরতির পর কাজে ফেরার জন্য ডাবিং আর্টিস্ট হিসেবে নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করেছি।
‘ডাবিং আর্টিস্ট হিসেবে নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করেছি’

Add Comment