ফরহাদ হোসেন মজুমদার: গুণী কণ্ঠশিল্পী হৈমন্তী রক্ষিত দাসের গানের ক্যারিয়ার বেশ দীর্ঘ। অডিও, প্লে-ব্যাক কিংবা মঞ্চ সবখানেই রয়েছে তার ব্যস্ততা। বর্তমান ব্যস্ততা প্রসঙ্গে হৈমন্তী বলেন, মূলত এখন নাটকের গান নিয়ে ব্যস্ত। বেশ কিছু নাটকের গান করলাম। হাতে আরও কিছু কাজ রয়েছে। নাটকের বাইরে কিছু গান কোম্পানির জন্য আর কিছু গান নিজের ইউটিউব চ্যানেলের জন্যও হচ্ছে। সম্প্রতি একটি ডুয়েট গানও করেছি। সপ্তাহখানেকের মধ্যে ভিডিওসহ প্রকাশ পাবে এটি। শেষ কবে অ্যালবাম প্রকাশ হয় আপনার? হৈমন্তী বলেন, ২০১৮ সালে ধ্রুব মিউজিক স্টেশন থেকে ছয়টি গানের অ্যালবাম বের হয় আমার। তখন তো অ্যালবামের যুগ প্রায় শেষের দিকে। এরপর থেকে সিঙ্গেল গানই করছি। গানে পরিবার থেকে সাপোর্ট কেমন পান? এ গায়িকা বলেন, যথেষ্ট সাপোর্ট রয়েছে পরিবারের। তবে, সবচেয়ে বড় সাপোর্ট নিজেকেই করতে হয়। নিজের কাজের প্রতি নিজেরই ডিটারমাইন্ড থাকতে হয়। বাবা-মায়ের আগ্রহ থেকেই কি গানের জগতে পা রেখেছেন? হৈমন্তী বলেন, একেবারে ছোট বয়স থেকে গান গাওয়া শুরু করি। তখন বাবা-মা’র ইচ্ছাকেই প্রাধান্য দিয়েছি। বড় হওয়ার পর গানের প্রতি এক ধরনের ভালোলাগা তৈরি হয়। এখানেই পরিচিতি ও জনপ্রিয়তা পেয়েছি। এরপর নিজের ইচ্ছাতেই গানের জীবনে থেকে যাওয়া। দীর্ঘ গানের ক্যারিয়ারের প্রাপ্তি নিয়ে আপনি কতোটুকু সন্তুষ্ট? এ গায়িকা বলেন, আমি খুব বেশি সফল না। আবার ব্যর্থও না। আমার প্রথম থেকেই ফোকাস মৌলিক গানের দিকে। সেদিক থেকে আবার সফলই মনে করি। গানের অবস্থা এখন কেমন মনে হয়? হৈমন্তী বলেন, খারাপ বলার সুযোগ নেই। কারণ এখন একটা সুস্থ প্রতিযোগিতা আছে গানে। যদিও আগের মতো গানে সেই প্রাণটা খুঁজে পাওয়া যায় না। আগে একটি গানের পেছনে একজন শিল্পী, গীতিকার বা সুরকার কমপক্ষে ১০ দিন সময় দিতো। আর এখন একদিনেই গান কমপ্লিট! সবাই এখন ব্যস্ত। গানে কেউ আর এত সময় দিতে চায় না। কথা প্রসঙ্গে হৈমন্তী বলেন, শেষ দুই বছরে স্টেজ শো একদমই কমে গেছে। দেশের যে পরিস্থিতি তাতে স্টেজ শো আর আগের মতো করা যাচ্ছে না। এক্ষেত্রে একজন শিল্পীর থেকেও মিউজিশিয়ানরা বেশি সমস্যার মধ্যে আছে। কারণ একজন মানুষের ওপর তার পুরো পরিবার নির্ভর করে।
‘শেষ দুই বছরে স্টেজ শো একদমই কমে গেছে’
2 months ago
2 Views
2 Min Read

You may also like
চলচ্চিত্র • টেলিভিশন • বিনোদন • বিনোদনধারা • মঞ্চ • সঙ্গীত
শিল্পকলার নতুন মহাপরিচালক রেজাউদ্দিন স্টালিন
2 weeks ago
Add Comment