Home » বিকট শব্দে পটকা ফোটানো নিয়ে সংবেদনশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জয়া আহসান
চলচ্চিত্র বিনোদন

বিকট শব্দে পটকা ফোটানো নিয়ে সংবেদনশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জয়া আহসান

স্টাফ রিপোর্টারঃ নতুন বছরের আগমনে বিকট শব্দে পটকা-বাজি ফাটিয়ে উদ্‌যাপন করা হয়। বিগত কয়েক বছরে এই উদ্‌যাপন ঘিরে নানা দুর্ঘটনার খবর শোনা গেছে। বাজির শব্দে অনেক পাখির মৃত্যু, কুকুর-বিড়ালকে আতঙ্কিত হয়ে ছুটোছুটি করতে দেখা গেছে। এমনকি শিশু মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। তাই থার্টি ফার্স্ট নাইট উদ্‌যাপনে বিকট শব্দে পটকা ফোটানো নিয়ে সংবেদনশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। সোমবার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট দিয়ে তিনি লিখেন, মানুষের মতো পাখিদের কোনো ক্যালেন্ডার নেই। তারা থার্টি ফার্স্ট চেনে না। অন্য আর দশটা সন্ধ্যার মতোই তারা ফিরে যায় যে যার নীড়ে, রাতে ঘুমিয়ে পরদিন সকালে উঠে আবার কিচিরমিচির করবে বলে। কিন্তু সেই রাতে কী যেন হয় মানুষের। তারা ঘুমায় না। তীব্র হট্টগোল শুরু হয়, যেন যুদ্ধ! বিকট শব্দে পাখিদের ঘুম ভেঙে যায়। তারা দেখে আকাশে শত শত ফানুস উড়ছে। হঠাৎ একটা ফানুস এসে পুড়িয়ে দেয় গাছে থাকা সমস্ত পাখির ঘর। কেউ কেউ পুড়ে মরে, কেউবা আতঙ্কিত হয়ে আকাশে উড়াল দেয়। কিন্তু আকাশটাই তো নিরাপদ না। কোনো কোনো পাখি মারা পড়ে তীব্র শব্দে, আবার কারও গায়ে লাগে আতশবাজি। শুধু পাখির কথা কেন, এই শহরের কুকুর-বিড়াল-মুরগি-কীটপতঙ্গসহ সবাই-ই অস্থির হয়ে যায় নগরবাসীর আতশবাজি আর ফানুস উৎসবে। শিশু মৃত্যুর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০২২-এর জানুয়ারির ১ তারিখ যখন নগরবাসী সারারাত আতশবাজি উৎসব করে ঘুমাচ্ছে তখন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছিল ৪ মাস বয়সী উমায়ের। এক সময় সে পরাজিত হয় এবং মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। ছোট্ট উমায়েরের এই মৃত্যুর দায় কেন এই নগরবাসী নেবে না? এ বিষয়ে জয়া বলেন, আমি কিন্তু আনন্দ করতে বারণ করছি না, আতশবাজি না পুড়িয়ে, বাজি-পটকা না ফুটিয়েও অনেকভাবে আনন্দ করা যায়।

Featured